Tuesday, April 24, 2012

ভারী পানি ( Heavy Water ) D2O সমাচার ।


দুই পরমানু ভারী হাইড্রজেন ও এক পরমানু অক্সিজেন মিলে তৈরি হয় Heavy Water বা ভারী পানি । এই ভারী হাইড্রোজেন মূলত হাইড্রোজেন এর একটি আইসোটোপ যাতে একটি নিউট্রন বেশি থাকে । আর তাই এটি সাধারণ পানি অপেক্ষা ভারী হয় । ভারী পানি সাধারণ পানি অপেক্ষা শতকরা ১১ ভাগ বেশি ঘন ।  সাধারণ পানিতে  প্রতি টনে প্রায় ১৫০ গ্রাম ভারী পানি থাকে । এর গলনাঙ্ক ৩.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং স্ফটনাংক ১০১.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস । 

ভারী পানির ব্যাবহার :

১। ভারী পানি আনবিক চুল্লিতে দ্রতগামী নিওট্রন এর গতি মন্থর করতে ব্যবহৃত হয় ।

২। ডিউটরিয়াম উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় ।

৩। পারমানবিক শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় ।

এছাড়াও Semi-heavy Water নামে আর ও এক প্রকার পানি আছে যা একটি হাইড্রোজেন , একটি ডিওটরিয়াম ও অক্সিজেন পরমানু সমন্বয়ে গঠিত ।

Monday, April 23, 2012

মশা নিবারণে গাছ

সাইট্রনেলা

 মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ যারা তাদের জন্য আজ এক আজব গাছের কথা বলবো যা মশা তাড়াতে পারে । গাছটির নাম সাইট্রনেলা (Pelargonium graveolens Citrosa) । এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা আপনি খুব সহজেই বারান্দায় কিংবা বাসার সামনে লাগাতে পারেন । এই গাছটি দারুণ গন্ধ ছড়ায় এবং জন্মাতে কম পানি ও সারের প্রয়োজন হয় । গাছটি খরা প্রতিরোধী ও বটে । আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেছেন । এ ধরনের মাত্র ৬-৭ টি গাছ  এক একর জায়গাকে মশা মুক্ত রাখতে পারে।





Sunday, April 22, 2012

লজ্জাবতী গাছের পাতা স্পর্শ করলে সংকোচিত হয়ে যায় কেন ?


লজ্জাবতী গাছ
লজ্জাবতী গাছ খুব স্পর্শকাতর । লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে এর পাতলা আবরণের কোষ থেকে জল কনা কাণ্ডে চলে যায় । কারন এর ফলে গাছের কাণ্ডে এক ধরনের উদ্দিপনা তৈরী হয় যা পটাশিয়াম আয়ন কে ত্যাগ করে । এই পটাশিয়াম আয়ন পাতার টারগার প্রেসার কমিয়ে দেয় । টারগার প্রেসার এর ফলে পাতা থেকে পানি অপসারিত হয় ।এর ফলে কোষগুলো সংকুচিত হয় এবং দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলে । এজন্য পাতাগুলো সঙ্কুচিত হয় ।

Saturday, April 21, 2012

অনেক গাছ কীটপতঙ্গ খায় কেন ?

সুর্যশিশির
লতানো উদ্ভিদ খাদ্যের নাইট্রোজেন এর অভাব পুরণ করার জন্য কীটপতঙ্গ ধরে । সাধারনত ছোট কীটপতঙ্গ ধরার জন্য গাছের পাতা পতঙ্গের চারপাশে ব্লাডার এর রূপ নেয়। পতঙ্গ মারা গেলে তার পচে যাওয়া রস থেকে তারা খাদ্য গ্রহণ করে । এজন্য তাদের বিশেষ বিশেষ শারীরিক গঠনের প্রয়োজন হয় । বাংলাদেশে এ ধরনের গাছের মধ্যে ঝাঁঝি, সুর্যশিশির উল্লেখযোগ্য ।

সূর্যের তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত হয় না কেন ?


পত্ররন্ধ্র




দিনেরবেলা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করার জন্য গাছের পাতা কে সূর্যের উপর নির্ভর করতে হয় । সূর্যের প্রচণ্ড তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত বা শুকিয়ে যাওয়ার কথা কিন্ত তা হয় না । কারন গাছের পাতার নিচের অংশে অনেক পত্ররন্ধ্র থাকে যা দিয়ে গাছ অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প ত্যাগ করে। সূর্যের তাপে পাতার পানি ক্রমাগত বাষ্প হয়ে বাইরে বেরিয়ে যায় আবার মূল থেকে পানি ক্রমাগত পাতায় উঠে আসে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের ভাষায় জলীয়বাষ্প বেরিয়ে যাওয়ার এ পদ্ধতিকে প্রস্বেদন বলে। আর এর কারনেই সূর্যের প্রচণ্ড তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত হয়ে কিংবা শুকিয়ে যায় না। 








Text Widget

Search This Blog